পুলিশের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সাধারণত যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মন্দিরের গাড়ির রুটে পাওয়ার লাইন বন্ধ থাকে। তবে এই হাই-ট্রান্সমিশন লাইনটি যথেষ্ট উঁচুতে থাকায় তার সবররাহ বন্ধ করা হয়নি।
সম্ভবত কাঠামোর উচ্চতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, ফলে তা লাইনটির সংস্পর্শে চলে এসেছে। ভারতের তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর জেলার একটি মন্দিরের রথ শোভাযাত্রার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আজ সকালে কমপক্ষে ১১ জন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে, রথের গাড়ি হাই-ট্রান্সমিশন বৈদ্যুতিক লাইনের সংস্পর্শে এলে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে দুজন শিতামিলনাড়ুর রথ শোভাযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১১শুও রয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য কাছের হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে।
তিরুচিরাপল্লির সেন্ট্রাল জোনের পুলিশ মহাপরিদর্শক ভি বালাকৃষ্ণান জানিয়েছেন, এই ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেছেন, সাধারণত যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মন্দিরের গাড়ির রুটে পাওয়ার লাইন বন্ধ থাকে। তবে এই হাই-ট্রান্সমিশন লাইনটি যথেষ্ট উঁচুতে থাকায় তার সবররাহ বন্ধ করা হয়নি। সম্ভবত কাঠামোর উচ্চতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, ফলে তা লাইনটির সংস্পর্শে চলে এসেছে।
ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, লাইনটি তারের সংস্পর্শে আসার পর রথটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি ‘গভীর বেদনার্ত’।
মুখ্যমন্ত্রী এ ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন এবং আহতদের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।